ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেতু সংস্কার না হওয়ায় বিচ্ছিন্ন পটুয়াখালীর দুই উপজেলা

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০৪:২৫:২৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০৪:২৫:২৮ অপরাহ্ন
সেতু সংস্কার না হওয়ায় বিচ্ছিন্ন পটুয়াখালীর দুই উপজেলা সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মালবাহী ট্রলারের ধাক্কায় বেড়েরধন নদীর ওপর ভেঙে পড়া সেতুটি পাঁচ বছরেও কারও নজরে আসেনি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মির্জাগঞ্জ ও বেতাগী উপজেলার জলিশাসহ দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভেঙে পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সেতুটি একই অবস্থায় রয়েছে। এতে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কৃষক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সাধারণ মানুষ। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পথচারীদের ৫-৬ কিলোমিটার পথ বেশি চলতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালে এপ্রিল সেতুটি নির্মিত হয়। সেতুর পশ্চিম পাড়ে পার্শ্ববর্তী বরগুনার বেতাগী উপজেলার জলিশা ও পূর্ব পাড়ে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা। সেতুটি দিয়ে উপজেলার ভোমরাবাদ, উত্তর আমড়াগাছিয়া, মধ্য আমড়াগাছিয়া ও ওপারের হোসনাবাদ, জলিশা এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করত। কিন্তু সেতুটি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে একটি মালবোঝাই ট্রলারের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেড়েরধন নদীর পূর্ব ও পশ্চিমদিকে ব্রিজের ভাঙা অংশ পড়ে রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, নদীর ওপর সেতু না থাকায় দুই উপজেলার যোগাযোগ, কৃষি আবাস বাজারঘাট, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামগুলোর কোনো জরুরি রোগীকেও হাসপাতালে নিতে ১০-১২ কিলোমিটার ঘুরিয়ে নিতে হচ্ছে। অথচ এখানে সেতু থাকলে অনেক সহজে এবং তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া যেত। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে কৃষকরাও তাদের আবাদকৃত ফসল ঠিকমতো বাজারজাত করতে পারছেন না।

সেতুসংলগ্ন ডোকলাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আলম বলেন, ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে একটি মালবোঝাই ট্রলারে ধাক্কায় সেতুটি পশ্চিম পার্শ্বের দিক দুমড়ে-মুচড়ে নদীর মধ্যে পড়ে যায়। এ সময়ে ট্রলারের মাঝিসহ তিনজন আহত হন। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ওই পাড়ের শিক্ষার্থীরা প্রথম দিকে খেয়া পার হয়ে এলেও নদী পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ তাই তারা আসতে পারছে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমছে। কয়েক বছর হলেও সেতুটি সংস্কারের ব্যবস্থা হচ্ছে না। এলাকাবাসীর দাবি অতিদ্রুত এখানে সেতু নির্মাণ করা হোক।

এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, উপজেলার ডোমরাবাত এলাকায় ভেঙে যাওয়া সেতুর স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট হয়ে গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই অতিশিগগিরই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ